স্কিন কেয়ার টিপস শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন এই সকল বিষিয়ে আজকের আলোচনা
ষড় ঋতুর বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে আগমন ঘটে শীতকালের। কিন্তু ঋতুর এই বৈচিত্র্যময় আচারণের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না আমাদের ত্বক। যার ফলে দেখা দিতে পারে নানান জটিলতা। আমরা এখন সেই সব জটিলতা এবং তা প্রতিরোধী বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
বাতাসে জলীয় বাস্পের স্বল্পতায় শীত আসার সাথে সাথেই ত্বক শুষ্ক এবং নিস্প্রভ হয়ে যায়। বদলে যায় ত্বকে স্বাভাবিক অবস্থা। আবহাওয়া পরিবর্তন ছাড়াও জেনোরোসিস নামক একটি রোগের কারণেও ত্বক রুক্ষ হতে পারে। যা সব বয়সী মানুষেরই হয়ে থাকে। এর ফলে হাত,পেট সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে।
স্কিন কেয়ার টিপস টপিক ডার্মাটাইসিস, সোরাইয়াসিস, ইকথায়োসিসে,চুলকানি,ত্বক ফেটে যাওয়া,ত্বকের প্রদাহের মতো আর ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
নিস্প্রভ সেই ত্বকের সমাধানের জন্য শ্রেষ্ঠ উপায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক সবুজ শাক-সবজি এবং ফলমূল। কসমেটিকসের কেমিক্যালের ঘষামাজার একদমই প্রয়োজন নেই।
টমেটো স্কিন কেয়ার টিপস এটা একটা আমাদের জীবনে অনেক বর ভুমিকা রাখে।
ত্বকের যত্নে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। কাঁচা,সালাদ কিংবা রান্নায়,সবসময়ই এন্টি-অক্সিডেন্টের মাধ্যমে ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনে। ত্বক কে কোমল করে দেয়! বয়সের ছাপ পড়তে না দেওয়া টমেটোর খোসা ত্বকের জন্য অমৃতের ন্যায় ক্রিয়া করে।
শসা
ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা থেকে শুরু করে ত্বলের যত্নে আরেক অব্যর্থ ঔষধ হলো শসা। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে,যা শীতকালে সবচেয়ে জরুরি। ত্বক পরিস্কার করে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্যভাব আবার ফিরিয়ে আনে।
পালংশাক
শীতকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজির অন্যতম পালংশাক। কিন্তু ত্বকের জন্য এই পালংশাকই এক মহৌষধ। পালংশাকে থাকা বিটা ক্যারোটিন ত্বককে সমস্ত জীবাণু এবং রোগ বালায় থেকে রক্ষা করে। ফলে ত্বকের গুণগত মানের পাশাপাশি ত্বক সুস্থ থাকে। আবার ভিতর থেকে ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় পালংশাক।
গাজর স্কিন কেয়ার টিপস এর অন্যতম আরেকটি নাম।
স্কিনেরব স্বাস্থ্য রক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে গাজরের। স্কিন ডায়েটের প্রধান খাবার হলো এই গাজর। বিটা ক্যারোটিনে পরিপূর্ণ এই সবজি ত্বকের মেলানিনের পরিমাণ কমায় ফলে ত্বক ক্রমশ আরও উজ্জ্বল হয়। গাজর ত্বককে মসৃণ করে। গাজরের বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন হিসেবে থাকে এবং ত্বক কে সারিয়ে তোলে।
বিট
শীতকালে বিট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা সবজি হতে পারে।অনেকেই গাজরের বিকল্প হিসেবে এই বিট বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার করে।যা ত্বকের এতটাই পরিবর্তন সাধিত করবে, যে মেকাপের প্রয়োজন হবে না আলাদা করে। এর এন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক কে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে না। এতে রয়েছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিট হাইপারপিগমেন্টেশন।
ত্বকের যত্নে আরও কিছু উপায়:
১.ত্বকের যত্নে সবচেয়ে জরুরি হলো খাবার। যা ত্বককে ভিতর এবং বাহির,উভয় দিক থেকেই সুস্থ্য এবং উজ্জ্বল রাখে।
২.ধূলো,ধোয়া,দূষনের মতো নানান ব্যাপার গুলোর কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয় ত্বকে।তাই বাহ্যিকভাবে সুন্দর রাখতে হলে ত্বককে নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে।
৩.ত্বকের যত্নে সবচেয়ে জরুরি হলো ভিটামিন সি। যার এন্টি-অক্সিডেন্ট সহজেই ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ এবং বাইরে থেকে উজ্জ্বল রাখে।ফলে ত্বকে কোনো বয়সের ছাঁপ পড়ে ন।
৪. প্রতিদিন সকালে একটা টাটলা কমলালেবুর রস খেলে ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি প্রবেশ করে ফলে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া দূর করে। এতে বিদ্যমান কোলাজেন,ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারি। যার ফলে রোদে পোড়া ত্বক সুস্থ হতে পারে।
৫.শুধু ভিটামিন সি-ই না,ভিটামিন ডি ও ত্বকের জন্য সমানতালে উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,ত্বক সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি ও একই ভাবে ত্বকের জন্য জরুরি। অন্যথায়,ত্বক ও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বার্ধক্যের ছাপ পড়ে দ্রুতই।
৬.ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সম্পন্ন খাবার ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক মাছ এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। স্যামন, টুনা,ফার্ডিন মাছে আছে প্রচুর প্রয়োজনীয় ওমেগা ত্রি ফ্যাটি এসিড। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের শরীরে ফ্যাটি এসিড ত্বকে ন্যাচারালি তৈরি হলেও কৃত্রিম ভাবে সামুদ্রিক মাছই আমাদের ভরসা।
৭. কুসুম কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন। শরীরে বেশি ঘষামাজার দরকার নেই। সাবান বা ক্লিঞ্জার ও মশ্চেরায়জার ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
শীতকালে ত্বকের আলাদা যত্নের প্রয়োজন আর সেজন্য সমস্ত ঘরোয়া উপায়ে নিজের ত্বক কে কিভাবে সুন্দর এবং স্বাস্থ্যবান রাখবেন,সেইসব নিয়ে বিস্তারিত ধারণা আছে এখানে। সুতরাং এখনই ত্বকের যত্নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুস্থ থাকুন।
স্কিন কেয়ার টিপস নিয়ে নিয়ে আমরা অনেক টিপস পরেছি ভালোলাগলে আমদের সাথে থাকবেন।
আরও জানুনঃ আপনি যদি বই পরতে ভালোবাসেন তাহলে আপ্নের জন্য, সাহিত্য কাকে বলে? সাহিত্যের সারমর্ম