সাহিত্য কাকে বলে? সাহিত্যের সারমর্ম এগুলো নিয়ে রয়েছে আজকের আলোচনা
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে একজন মানুষ সামাজিকতার মাধ্যমে বেঁচে থাকে। সেই সামাজিকতার সবচেয়ে বড়ো মাধ্যম হলো তার ভাষা, অর্থাৎ সে কোন ভাষায় কিভাবে কথা বলে। আর সেই ভাষার কথা থেকেই সৃষ্টি হয় সেই নির্দিষ্ট ভাষার সাহিত্য। আমরা বাঙালি হওয়ায় আমাদের নিকট বাংলা ভাষার সাহিত্য-ই অধিক জনপ্রিয়। সুতরাং প্রত্যেক ভাষাভাষী মানুষের কাছেই তাদের নিজস্ব ভাষার সাহিত্য অধিক প্রিয়। এখন আমরা সাহিত্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সাহিত্য কাকে বলে আজকে আমরা এসব বিসয় জানবো
সাহিত্য হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট ভাষাভাষী মানুষের মনের বিভিন্নরকম ভাব নানাবিধ অসাধারণ উপায়ে লিখিত উপস্থাপন করে,তখনই তাকে সাহিত্য হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। সাহিত্য শিল্পের-ই একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাহিত্যের স্পর্শ একটা সাধারণ লেখনী কে অন্য সকল লেখনী থেকে আলাদা করে বিস্তার করে। যা পাঠকের হৃদয়ে দাগ কাটে বিভিন্নভাবে। সেই দাগ থেকে পাঠক অনেক কিছু শিখে ; যা তার অন্তরাত্মার সাথে সংযুক্তি ঘটিয়ে অন্যজগতে হারিয়ে যেতে। এভাবে সাহিত্যের প্রকৃত রস আস্বাদন করা যায়।
সাহিত্যের নিকট এসে একজন পাঠক তার নিজেকে ভিন্নভাবে খুঁজে পায়,যেভাবে সে নিজেকে কখনো আবিস্কার করে নাই। তার মনের সুপ্ত অনুভূতি গুলো কে পরিচর্যা করে নতুন করে অঙ্কুরিত করে পাঠকের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে ব্যাপক ভাবে। ব্যাক্তি এবং সামাজিক উভয় জীবনেই যার প্রভাব পড়বে পাঠকের মাঝে।
সাহিত্য কাকে বলে সাহিত্যের ইতিহাস কি?
সাহিত্যের জন্ম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। তবে বাংলা ভাষা কে আরও সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে সাহিত্য। প্রকৃতপক্ষে, সাহিত্যের প্রকৃত গোড়াপত্তন সেদিনই হয়েছে যেদিন মানুষ মনের ভাব বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ করার মাধ্যম খুঁজে পেয়েছে এবং অনুভব করেছে।
সাহিত্যের প্রকারভেদ
ভাষাভাষী ভিন্নতা বিবেচনায় সাহিত্য প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ
- দেশি সাহিত্য
- বিদেশি সাহিত্য
আবার সাহিত্যের ধরণ অনুযায়ী তা দুই প্রকার। যথাঃ
- গদ্য
- পদ্য
সাহিত্য কাকে বলে বাংলা সাহিত্য
যেহেতু আমরা বাংলা ভাষাভাষী জাতি,সেহেতু আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ও বাংলা সাহিত্য। সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে হিন্দুধর্ম, মুসলিম এবং তৎকালীন বাংলার লৌকিক নিয়ে বাংলা সাহিত্যের আনুষ্ঠানিকভাবে গোড়াপত্তন ঘটে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীণতম নিদর্শন হচ্ছে চর্যাপদ।
বাংলা সাহিত্যের শুরুর দিকের শিল্পকর্ম গুলো ছিল রামায়ণ, মহাভারত বঙ্গানুবাদ, মঙ্গলকাব্য, শাক্তপদাবলি, বৈষ্ণব পদাবলি, নাথসাহিত্য, বাউল পদাবলি, পীরসাহিত্য এবং ইসলামি ধর্মসাহিত্য। সময়ের সাথে সাথে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে বাংলা সাহিত্যে ; যা শুরু হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী তে। যেটা কে বাংলা সাহিত্যের নতুন যুগ হিসেবে ধরা হয়।
বাংলা ভাষায় যে সব গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস রচিত হয়েছে তাকেই বাংলা সাহিত্য বলে। বাংলা সাহিত্য কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- আদিযুগ
- মধ্যযুগ
- আধুনিক যুগ
সাহিত্য আমাদের কেন পড়া উচিত
সাহিত্য কাকে বলে জানার পরেই যদি আলোচনা করতে চাই তবে তা হতে পারে সাহিত্য কেনো পড়া উচিৎ সকলের। সাহিত্যই একমাত্র পারে লিখাকে আনন্দময় করে আরও হৃদয়স্পর্শী করে তুলতে। এছাড়াও সাহিত্যকে বলা হয় সমাজের একটা আয়না। যেখানে সমাজের বিভিন্ন প্রতিবিম্ব ফুটে উঠে এই সাহিত্যের মাধ্যমে। আর এই সাহিত্য পড়াকালীন আপনি সমাজের বিভিন্ন রূপ চোখের সামনে দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, চোখের সামনে ভেসে উঠবে সেই সময়কার পরিস্থিতি, ন্যায়-অন্যায় প্রভৃতি।
ফলে আপনার মনে এবং চিন্তার স্বাস্থ্য গঠণ, আত্মউপলব্ধি হয়। তাছাড়া নিজের মধ্যে শব্দভান্ডারও বেড়ে যায়। সাহিত্য আপনাকে ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে জ্ঞাত করবে। আর তাই প্রতিনিয়তই সাহিত্য চর্চা করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
সাহিত্য কাকে বলে, সাহিত্যের বিস্তারিত আলোচনা সহ সম্যক ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি আলোচনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সাহিত্য আমাদের অজান্তেই জীবনের অনেক বড়ো অংশ হয়ে গেছে।
বিস্তারিত পড়ুন আরো : স্কিন কেয়ার টিপস শীতকালে ত্বকের যত্ন